মহান দেশপ্রেমিক আসাদ্দর আলীর স্মৃতির প্রতি
গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।সিলেটের রাজনৈতিক ইতিহাসে আসাদ্দর আলীর এক প্রথিতযশা
পুরুষ ছিলেন। গভীর দেশপ্রেম অন্তরে ধারন করে ঐকান্তিক নিষ্ঠা ও সততার সাথে
রাজনৈতিক আঙ্গীনায় দেশের জন্য কাজের যে উজ্জল উদাহরন তিনি রেখে গেছেন তা
চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।জন্মলগ্ন থেকেই পাকিস্তান সরকার জাতীয় নিপীড়ন ও স্বৈরাচারের
পথ ধরে অগ্রসর হতে থাকে।রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে বাংলাকে অস্বীকার করে বঙ্গালী জাতীকে
দমনের প্রয়াস পায়।উদুই হবে পাকিস্তানের এক মাত্র রাষ্টভাষা, জিন্না সাহেবের এই
ঘোষনা স্বধীনতার ঊষালগ্নেই সমস্ত বাংলাদেশ প্রতিবাদে প্রকম্পিত হয়ে উঠে।আমাদের
সিলেটবাসীও ওপেছনে পরে থাকেনি।গজন করে ওঠে রাষ্ট ভাষা বাংলা চাই। আসাদ্দর আলী তখন
মদনমোহন কলেজের ছাত্র। সেই ১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনে তিনি সিলেটে এক অনবদ্য ভূমিকা
পালন করেন।মুসলীম লীগ সরকারের নানারকম ভয়ভীতি, অত্যাচার নিপীরন অগ্রাহ্য করে যারা
সাহসের সাথে ভাষা আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েন তাদের মধ্যে আসাদ্দর আলী অন্যতম।ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে আমাদের জাতীয় আন্দোলনও অগ্রসর
হতে থাকে।
আসাদ্দর আলী ও বিশেষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে আভিভূত হন । অসাম্প্রদায়িক
গনতান্তিক ধারায় অগ্রসরমান
আসাদ্দর আলীর জীবন ও হয়ে পড়ে রাজনীতি ভিত্তিক।আমাদের
কালজয়ী ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে এসে আসাদ্দর আলী নিষিদ্ধ ঘোষিত কমিউনিষ্ট
পাটির সংস্পশে আসেন এবং সমাজতান্ত্রিক মহান আদশে দীক্ষিত হন। সমাজ তন্ত্রের
নিষ্টাবান কমী ও নেতা হিসাবে একজন আদশবান মানুষ রুপে লোক সমাজে পরিচিতি লাভ করেন। সিলেটের
মেহনতী মানুষের মধ্যে কাজ করা , আন্দোলন গড়ে তোলা ও সংগঠন করার ক্ষেত্রে তার অবদান
অসীম।পাকিস্তানে এবং পরবতীকালে বাংলাদেশে গরীব মানুষের রাজনীতির ধারা যারা এগিয়ে
নেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাদের মধ্যে
আসাদ্দর আলী অন্যতম।রাজনৈতিক জীবনে অতিরিক্ত
খাটুনীতে তার স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে পড়ে এবং খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং অকালেই তিনি
মহাপ্রয়াণ করেন । আমাদের সকলের জন্য তা খুবই বেদনাদায়ক। নিষ্টা ও সততার যে জীবন
তিনি রেখে গেছেন , তা নিশ্চয়ই আমাদের অনুপ্রেরনা দেবে।জীবনাদশ গ্রহন ও পরিচালনা
করার ক্ষেত্রে যাদের সংস্পশে তিনি এসেছেন তাদের কয়েকজনের কথা উল্লেখ করে
আসাদ্দরআলী সম্পকে অল্প কয়েকটি কথা লিখলাম।ঘনিষ্টভাবে তার সাথে যারা যুক্ত ছিলেন তারা
হলেন নানাকার বিদ্রোহের নেতা অজয ভট্রাচায্য, অগ্নিযুগের বিপ্লবী নেতা বারীন দত্ত,
রোহিনী দাস, হেনা দাস, লাল মোহন রায় প্রমুখ।সমকালীন সাথীদের মধ্যে ছিলেন
পীরহবিবুর রহমান, তারা মিয়া, মফিজ আলী প্রমুখ।
বরুন রায়ঃ এক রাজনৈতিক ঐতিহ্যবাহী
পরিবারের সন্তান, সাবেক সদস্য, সিপিবি কেন্দ্রীয়
কমিটি।
Post a Comment
0 comments
কমরেড আসাদ্দর আলী বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম।তিনি সারাজীবন মেহনতী মানুষের কল্যানে কাজ করে গেছেন।১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবিস্মরণীয় অবদান ছিল।তিনি কমিনিষ্ট আন্দোলনের পথিকৃত এবং বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।গণ মানুষের নেতা কমরেড আসাদ্দর আলীর স্বরনে একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র।সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।