Feature Label 3

0



assador ali

 রেজিস্ট্রি মাঠ সিলেটবাসী তথা গোটা দেশের ইতিহাসের সাথে নামটি ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত জাতির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম আর আনন্দের সাথে মাঠটির রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক বৃটিশ শাসনাধিন সময় পাকিস্তানীযুগের প্রথম দিকে সিলেটে রাজনৈতিক সভা সমাবেশগুলো হতো ঐতিহ্যবাহী গবিন্দপার্কে ষাটের দশকের প্রথম দিক পর্য্যন্ত গবিন্দপার্কই ছিল সিলেটের রাজনৈতিক সভা সমিতির মুল কেন্দ্র
বোধ করি জনগনের মত প্রকাশের অধিকার সংকুচিত করার হীন মানষে ষাটের দশকের শুরুতে সিলেটের তৎকালিন পশ্চীমা জেলা প্রশাসক মি: হাসান গবিন্দ পার্কে তার নামে একটি মার্কেট নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সিলেটের প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক শক্তি জেলা প্রশাসক হাসানের গৃহিত উদ্যোগের প্রতিবাদ করলেও প্রশাসন তা গায়ে মাখেনি। বরং উগ্র সাম্প্রদায়িকতার কালো ধোয়া তৈরী করে প্রতিবাদ কারীদেরকে বেকায়দায় ফেলে দেয়, তৈরী করে আজকের হাসান মার্কেট।
হাসান মার্কেট তৈরী করে তৎকালিন পশ্চীমা জেলা প্রশাসক বাংলা, বাঙ্গালী, শ্রমিক, কৃষক ছাত্র জনতার সমস্যার সমাধান করতে পারেনি, পারেনি তাঁদেরকে টুটি চেপে হত্যা করতে। বিকল্প হিসাবে সিলেটবাসী সিলেট রেজিস্ট্রি অফিসের সামনের মাঠকে সভা সমিতির জন্য ব্যবহার করতে শুরু করে। এক সময় জেলা প্রশাসন রেজিস্ট্রি মাঠকে সভা সমিতির জন্য নিদৃষ্ট করে দেন। কালের স্বাক্ষী রেজিস্ট্রি মাঠে ষাটের দশকের শুরু হতে হাজারো সভা সমিতি হয়েছে। এই রেজিস্ট্রি মাঠে সভা সমিতিতে বক্তৃতা করেছেন মজলুম জননেতা মৌলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী, হাজী মো. দানেশ, . আলীম আল রাজি, মশিউর রহমান যাদু মিয়া, তাজ উদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কমরেড আসাদ্দর আলী,পীর হাবিবুর রহমান, আব্দুস সামাদ আজাদ, মো. তোযাহা, দেওয়ান ফরিদ গাজী, আবদুল হক, আবদুল মতিন, আলাউদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ, মতিয়া চৌধুরী, পংকজ ভট্টাচার্য্য, আহমদুর রহমান আজমী


 কাজি জাফর, আহমদ রাশেদ খান মেনন. আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমদ, .. আব্দুর রব, শাহজাহান সিরাজ, নুরে আলম সিদ্দিকী, আবদুল কুদ্দুছ মাখন, হাসানুল হক ইনু, মনিসিংহ,কাদের সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন জাতীয় নেতৃবৃন্দ। এই রেজিস্ট্রি মাঠে ৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন পূর্ব জনসভা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বিংশ শতাব্দির ৮০ দশক পর্যন্ত মাঠটি সভা সমিতির জন্য উন্মুক্ত থাকলেও ৯০ দশকের শুরুতে কোন অদৃশ্য শক্তি মাঠটিতে হকারদের ব্যবসা করার সুযোগ করে দেয়। জেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় এই মাঠে দখলদার হকারদের কাছ থেকে একটি চক্র নিয়মিত টোল আদায় করে বলে জানা যায়। এক সময় সিলেটের প্রতিবাদী তরুন প্রায়ত সৈয়দ হাবিবুর রহমান হীরনের নেতৃত্বে রেজিস্ট্রারী মাঠ দখল মুক্ত করার আন্দোলন শুরু হয়। প্রশাসন জনচাপে রেজিস্ট্রি মাঠকে দখলমুক্ত করে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেয়, কিন্তু কিছুদিন যেতেনা যেতেই তা আবার চলে যায় দখল দারদের কবলে। এখন রেজিস্ট্রি মাঠে সভা সমাবেশ করার কোন পরিবেশ নেই।
সিলেটের সচেতন জনগন, জাতীয় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব জনতান্ত্রিক আন্দোলনসহ হাজারো আন্দোলন সংগ্রামের নীরব স্বাক্ষী রেজিস্ট্রি মাঠকে দখলমুক্ত দেখতে চান। তাঁরা চান রেজিস্ট্রি মাঠ হবে সমস্থ রাজনৈতিক সভা সমাবেশের পীঠ স্থান।
সচেতন মহল আশা করছেন সিলেটের নুতন জেলা প্রশাসক মহোদয় ব্যাপারে বাস্তবানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

Post a Comment

কমরেড আসাদ্দর আলী বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম।তিনি সারাজীবন মেহনতী মানুষের কল্যানে কাজ করে গেছেন।১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবিস্মরণীয় অবদান ছিল।তিনি কমিনিষ্ট আন্দোলনের পথিকৃত এবং বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।গণ মানুষের নেতা কমরেড আসাদ্দর আলীর স্বরনে একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র।সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।