Feature Label 3

0


আসাদ্দর আলী

বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ, ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে ভারত উপমাহাদেশে আন্দোলনের যে লেলিহান অগ্নিশিখা প্রজ্জলিত হয় তার দাহে সেদিন বৃটিশ সিংহের কেশরে আগুন ধরেছিল। সাম্রাজ্যবাদী দস্যুরা এই ভূখন্ডের অসংখ্য বীর সন্তানের রক্তে সিক্ত করেছিল দেশের শ্যামল সুন্দর মাটি। এই রক্তবীজেই নতুন নতুন সংগ্রামের জন্ম হয়েছিল। কিন্তু বিদ্রোহ বিপ্লবের সম্ভাবনার মুখে কংগ্রেসের তথাকথিত অহিংস নীতি ও মুসলিম লীগের দ্বিজাতি তত্তে¡র অন্ধ আবর্তে উপমহাদেশের মুক্তি সংগ্রামের চেতনা আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। দেশ-বিদেশের শোষক ও প্রতিক্রিয়াশীলদের চক্রান্তে স্বাধীনতা সংগ্রামের  রক্তস্নাত পবিত্র ইতিহাস ভ্রাতৃঘাতি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় কলঙ্কিত হয়। বিভিন্ন জাতিসত্বার স্বাধিকার ও মুক্তির সম্ভাবনা হয় পর্যূদস্ত। অবশেষে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ এবং এই উপমহাদেশের রাজা-নবাব সামন্ত মুৎসুদ্দি বুর্জোয়া ধনিক বনিকদের দু’টি বৃহৎ দল কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে আপোষ রফার ভিত্তিতে ভারত  দ্বিখন্ডিত হয়, দ্বিখন্ডিত হয় বাংলাদেশ, কাশ্মীর ও পাঞ্জাব। কিন্তু দ্বিজাতি তত্তে¡র ভিত্তিতে মুসলমান ধর্মাবলম্বী মানুষের আবাসভূমি হিসেবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আবার শুরু হয় কাদিয়ানী বিদ্বেষী ও শিয়াসুন্নীদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। এ দাঙ্গায় হাজার হাজার নিরপরাধ মুসলমান প্রাণ হারান। আজও ভারতে সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলি নতুন নতুন রূপে বিভৎস আকারে দেখা দিচ্ছে। শিখ সম্প্রদায়ের ভাষা, ভৌগলিক অবস্থান ও আর্থ সামাজিক শর্তের ভিত্তিতে গঠিত জাতীয়তার পরিবর্তে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে খালিস্তানের দাবী তুলে শিক সাম্প্রদায়িক শক্তি স্বর্ণমন্দিরে “সশস্ত্র সংগ্রামের ঘাটি” স্থাপন করে। ভারত সরকারকে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে শতশত শিখের রক্তের বিনিময়ে স্বর্ণ মন্দির “মুক্ত” করতে হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় এবং সাম্রাজ্যবাদ ও প্রতিক্রিয়ার ষড়যন্ত্রে ইন্দিরাকে প্রাণ হারাতে হয় শিখ সম্প্রাদায় ভুক্ত তার নিজের দেহরক্ষীর গুলিতে। হিন্দু ও শিখের দাঙ্গায় “বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ” ভারতে হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের শিকারে পরিণত হতে হয়। আজো ভারতে গণতন্ত্রের নামেই বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে স্বৈর শাসনের প্রাথমিক পর্ব প্রেসিডেন্টের শাসন ও জরুরী অবস্থা বহাল করা হয়। পাকিস্ত নেতা সামরিক শাসন জারী আছেই। বহু রক্তাক্ত সংগ্রাম ও ভাঙ্গাগড়ায় বিভিন্ন প্রক্রিয়া অতিক্রম করে বাংলাদেশের জন্ম হয়। এই দেশেও হাজার হাজার দেশপ্রেমিক রাজনীতিক, তিনজন রাষ্ট্র প্রদান, কয়েকজন জেনারেল ও শত শত জোয়ানকে হত্যা করা হয়েছে। এত  হত্যাকান্ডের পর একটি নির্বাচিত’ সরকারকে ক্ষমতা-চ্যুত করে স্বৈরাচারী সামরিক শাসন কায়েম হয়ে রয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সংকটকে বিচার করতে হবে। অ্যারিষ্টটল বলেছেন, “গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যাস্ত থাকে”। কিন্তু দেশ, কাল ও সমাজ ব্যবস্থার ব্যবধানে জনগণের সংজ্ঞাও পরিবর্তিত হয়। শ্রেণীর উদ্ভব হওয়ার পরিনতিতে রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়েছে। শ্রেণী শাসন পরিচালনা করার জন্য সমাজের এক স্তরের ব্যবস্থায় এক একটি সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী শ্রেণী রাষ্ট্র যন্ত্রটাকে দখল করে রাখে। রাষ্ট্র দখলে রাখার জন্য সামরিক বাহিনী ও পুলিশ বাহিনী সহ আমলারাই শাসকশ্রেণীর মুল হাতিয়ার। শোষক শ্রেণীগুলি শোষিত জনগণকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এইসব বাহিনীকে পোষণ করে। একটি জরাজীর্ণ ও দুর্বল শ্রেণীকে উচ্ছেদ করে অন্য একটি অধিকতর শক্তিশালী শ্রেণীর ক্ষমতা দখলের পর তার শাসন শোষণ রক্ষা করার জন্য ও এইসব হাতিয়ার ব্যবহার করা হয়। সামন্তবাদী সমাজকে উচ্ছেদ করে বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ার মাধ্যমে বুর্জোয়ারা গণতন্ত্র কায়েম করার পর বুর্জোয়া গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য এই সমস্ত বাহিনীকে লালন পালন করা হয়। পরের ঘটনা আবার প্রমাণ করেছে বুর্জোয়ারা সংকটের আবর্তে পড়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্রকে নিজেরাই হত্যা করেছে। এখন সংহারা শ্রেণীকে নতুন ভাবে গনতন্ত্রের জন্য বিপ্লব করে নিজেদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হয়েছে। শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষ বরাবরই প্রগতির পক্ষে সংগ্রাম করেছেন। “সমস্ত দেশের সর্বহারা শ্রেণী বুর্জোয়া গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বাধীনতা লাভ করার জন্য অনেক রক্ত দান করেছেন। তারা স্বভাবতঃই সর্বশক্তি দিয়ে তাকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করবে” (জজি ডিমি ট্রভ, ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রাম ও যুক্তফ্রন্ট প্রসঙ্গে পৃঃ ৫৭) জর্জি ডমিটুভই আবার লিখেছেন, আক্টোবর বিপ্লবের সময় যেসব রাজনৈতিক দল বুর্জোয়া গণতন্ত্র রক্ষার শ্লোগান নিয়ে প্রলেতারীয় এক নায়কত্ব স্থাপনের বিরোধিতা করেছিল তাদের সকলের বিরুদ্ধে রুশ বলশেভিকরা জীবন মরণ সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিল (ঐ বহি ৫৭)পৃঃ)। কারণ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর সর্বহারাদের একনায়কত্বই প্রকৃতপক্ষে জনগণের গণতন্ত্র। বুর্জোয়া গণতন্ত্রের ছিন্নপতাকার ছায়ায় দাঁড়িয়ে শ্রেণী স্বার্থের মাথা বাঁচানোর উদ্দেশ্যে বিশ্বের পুঁজিবাদী ও সা¤্রাজ্যবাদী শক্তির সাহায্যে রাশিয়ার প্রতিবিপ্লবী শক্তি সেদিন প্রগতির চাকাকে পিছনের দিকে ঠেলে ধরার জন্য সমবেত হয়েছি। দুইশত বছর পরাধীন থাকার পর ১৯৪৭ সালে ভারত উপমহাদেশ দ্বিখন্ডিত হয়ে দু’টি নয়া উপনিবেশিক দেশে পরিণত হয়। জাতীয় মুক্তি ও জনগণতন্ত্রের পরিবর্তে সেদিন উপমহাদেশের বুর্জোয়াদের সংগে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদীরাও এই দেশগুলিতে শোষণ ও প্রভাব প্রতিপত্তির জাল বিস্তার রাখার নতুন কৌশল গ্রহণ করে। বিশ্ব ব্যাংক, আন্তর্জাতিক অর্থতহবিল, পি, এল ৪৮০, ও বিভিন্ন অসম বাণিজ্ব্য চূক্তি, প্রভৃতি মাধ্যম ব্যবহার করে তথাকথিত সাহায্য, ঋণ দান ও ব্যবসা বাণিজ্যের মধ্য দিয়েই সাম্রাজ্যবাদীরা নয় উপনিবেশিক দেশগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই সমস্ত দেশে “উন্নয়নের’ নামে অনুৎপাদনশীল খাতে তাহাদের ঋণের ও দানের টাকা ব্যয় হয়। ফলে ঋণের পরিমাণ ও সুদের বোঝা বাড়তেই থাকে। এই ভাবেই নয়া উপনিবেশিক দেশগুলি দিন দিন 

সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির উপর অধিক থেকে অধিকতর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে থাকে। দেশে জাতীয় পূঁজির বিকাশে বাঁধার সৃষ্টি হয়, বেকার সমস্যা জটিলতর হয় এবং জিনিস পত্রের দাম বাড়ে। দেশে সা¤্রাজ্যবাদের দালাল একটি পুজিপতি গোষ্ঠি গড়ে ওঠে। এইসব পূঁজিপতিরা সা¤্রাজ্যবাদের সংগে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী কায়-কারবার করে সাম্রাজ্যবাদী পূঁজিপতিদের শোষণের অংশ দিয়েও নিজেদের ধন-দৌলত বাড়ায়। এই মুৎসুদ্দী পূঁজি, সামন্তবিশেষ ও দুর্ণীতিবাজ আমলারাই পকৃত পক্ষে এইসব দেশে শাসক শ্রেণীর ভূমিকায় অবতীর্ন হয। এই শাসক শ্রেণীর অবাধ শোষণ লুন্ঠন ও ঘুষ দুর্ণীতির বিরুদ্ধে জনগণ আন্দোলন ও বিদ্রোহ-বিপ্লবের পথে পা বাড়ায়। ঐসব দেশে গণতন্ত্রের নামে কিছুদিন শাসন চললেও শাসক শ্রেণীগুলি এবং তাদের বিদেশী প্রভু সাম্রাজ্যবাদীরা নিজ প্রয়োজনে গণতন্ত্রের লেবাস খুলে ফেলে দেশে জরুরী অবস্থা ও সামরিক শাসন জারী করে। সুতরাং বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সংকটের মূল কারণ কেবল দেশজ সামন্ত-বর্জোয়া আমলাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে বলে হিসাব করে আন্দোলনের গতি প্রকৃতি নির্ণয় করতে গেলে ভূল হবে। গণতন্ত্রের পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তি সমূহের বিন্যাসের ক্ষেত্রে আর একটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে। তা হল এক শ্রেণী দৃষ্টি কোন থেকে বিচার করলে গণতন্ত্রের সংগ্রামে আজ যারা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছেন তাদের কোন কোন অংশের শ্রেণী চরিত্র এবং সামরিক শাসকদের শ্রেণী চরিত্র এক এবং অভিন্ন। শাসক শ্রেণীর কোন কোন অংশ শাসন ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এবং কোন কোন অংশ শাসন ক্ষমতা দখল করার জন্যই দ্ব›দ্ব বিরোধে লিপ্ত রয়েছেন। আসলে শাসক শ্রেণীগুলির ক্ষমতাসিন ও ক্ষমতা প্রত্যাশিরা দেশ-বিদেশের শোষক শ্রেণীগুলির শোষন ও শাসনের উদ্দেশ্যে গণআন্দোলনের স্রোত ধারাকে নিজেদের দিকে টেনে রাখার জন্য “সংগ্রামে” লিপ্ত রয়েছেন। অন্যদিকে তাহাদের ভেলকীবাজীতে মেহনতি মানুষের সন্তানরাও মোহগ্রস্ত ও বিভ্রান্ত রয়েছেন। শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষের সন্তান সন্ততিদের মোহমূক্তি ঘটিয়ে তাহাদের গণতন্ত্রের আন্দোলন সংগ্রামে শরীক করতে পারলেই আন্দোলন সফল হবে। সাম্যবাদী ও বাম পন্থিরা সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করলে শ্রমিক কৃষক মধ্যবিত্ত জনতার শ্রেণীগত সংগ্রাম ও গণতন্ত্রের সংগ্রামের আকর্ষণেই এই কাজ সহজ হবে।

মনিষী কার্ল মার্কস ১৮৫৩ সালে লিখেছিলেন- The native army, organized and trained by the British drill sergeant, was the sine que non of Indian self-emancipation, (দেশীয় যে সৈন্যদল বৃটিশ ড্রিল সার্জেন্টরা শিক্ষিত ও সংগঠিত করে তুলছে তারা ভারতের মুক্তির জন্যে অপরিহায় । বৃটিশ শাসনের শেষ দিকে ভারতে সিপাইদের বিভিন্ন অংশের বিদ্রোহ, এবং বোম্বে ও করাচীর নৌ বিদ্রোহ কার্লমার্কসের এই ভবিষ্যৎ বাণীকে সপ্রমান করে। মার্কসের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ স্থানকালের ব্যবধান অতিক্রম করে বিভিন্ন দেশের পরিসরে বার বার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মাও বলেছিলেন (Our soldiers are also being trained in our enemy camps”) (আমাদের সৈন্যরা ও আমাদের শত্রæদের শিবিরে শিক্ষালাভ করছে) আজও আমাদের দেশের শাসক ভ্রেণীগুলির বিভিন্ন অংশের বিভিন্ন দল মতের ভিতরে গণতন্ত্রের সৈনিকরা তৈরী হচ্ছে সংগ্রামের উদগ্র আকাঙ্খা নিয়ে। সূস্থ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের আঘাতে আঘাতেই গণতন্ত্রের পথে সংকটের বাঁধগুলি ভেংগে দিয়ে তাহাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পথ পরিষ্কার করতে হবে। বিশ্ব পরিসরে সমাজতান্ত্রিক শিবিরের অনৈক্য সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের দেশে দেশে সাম্রাজ্যবাদীদের অনুপ্রবেশ, যুদ্ধাস্ত্র নির্মাণের আকর্ষনীয় আত্মঘাতি প্রতিযোগীতায় এবং গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করার অন্য সাম্রাজ্যবাদীদের সৃষ্ট ও লালিত পালিত প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিগুলির চক্রান্তের ফলে দেশে দেশে সাম্যবাদী ও সমাজতান্ত্রিক শক্তিগুলি ও শতধা বিভক্ত ও বিচ্ছিন্ন। ‘লাল ঝান্ডা প্রতিহত করার চক্রান্তের শিকারে পরিণত হয়ে কিছু সংখ্যক সাম্যবাদীও আজ বিভ্রান্তিতে ভোগছেন। গণতন্ত্রের পথে সংকটের ক্ষেত্রে এর প্রভাব ও পড়েছে।  আজ যদি সাম্যবাদী, সমাজতান্ত্রিক ও বামপন্থি শক্তিগুলি ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিষ্ঠার সংগে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর্বের সংকট গুলি দূর করার উদ্যোগ গ্রহণ করে তবে এসব সংকট কাটিয়ে উঠা সম্ভব।


আসাদ্দর আলীমহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম

সংগঠক, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল।


Post a Comment

কমরেড আসাদ্দর আলী বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম।তিনি সারাজীবন মেহনতী মানুষের কল্যানে কাজ করে গেছেন।১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবিস্মরণীয় অবদান ছিল।তিনি কমিনিষ্ট আন্দোলনের পথিকৃত এবং বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।গণ মানুষের নেতা কমরেড আসাদ্দর আলীর স্বরনে একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র।সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।