Feature Label 3

2

কমরেড আসাদ্দর আলী স্মৃতি পরিষদ,কমরেড আসাদ্দর আলী  পরিষদ,কমরেড আসাদ্দর আলী,আসাদ্দর আলী,আসদ্দর আলী,কমরেড আসদ্দর আলী,কমরেড আজহার আলী,আজহার আলী,comrade asaddar ali,asaddar ali,comrade assador ali,assador ali comrade azhar ali,azhar ali,

অাজহার অালী।পিতা অারজদ অালী।পৈতৃক নিবাস বিশ্বনাথ উপজেলাধীন ভোগশাঈল গ্রাম।মা- বাবার চতুর্থ সন্তান।দুই ভাই অার তিন বোন নিয়ে সংসার।জন্ম ১৯৩০ সালে।পিতার অামলেই বিশ্বনাথের অাদিনিবাস থেকে বালাগঞ্জ উপজেলাধীন তাজপুরের নিকটবর্তী কাজিরগাঁও এসে বসতি স্থাপন করেন।
লেখাপড়ায় হাতেখড়ি এবং প্রাথমিক পর্যায়েই কিছু শিক্ষার পর শুরু হয় মাদ্রাসা শিক্ষা।মৌলবীবাজারের কুলাউড়া উপজেলাধীন হাসিমপুর মাদ্রাসা এবং বালাগঞ্জ উপজেলাধীন কাজিবাড়ি মাদ্রাসা, অতঃপর বিশ্বনাথের লামাকাজী এসব মাদ্রাসা সমূহে শিক্ষাজীবন।কারিয়ানা পড়েন।গলায় সুর ছিল।অাবেগ অার লেহেণ দিয়ে তিলাওয়াত করতেন। মনের মাধুরী মিশিয়ে তিলাওয়াত করে শ্রোতার মন জয় অার উতলা করে দিতে পারতেন।
কারিয়ানা পাস করে পাগড়িপাওয়া ক্বারি কিন্ত অন্য সুরের জগতেও যে অাকণ্ঠ নিমজ্জিত এবংপরাজিত তা কি কেউ জানে! মন অন্তর অার অাগ্রহ তাঁর সুরে।হ্নদয় উজাড় করা সুর।গজল অার কাসিদা গাইতে শুরু হয় গান গাওয়া।
পদ্মার ঢেউরে.../অামি জেনেশুনে বিষ করেছি পান.../অাল্লাহু অাল্লাহু তুমি জাল্লে জালালহু...থেকে অবশেষে নিন্দার কাঁটা যদি না বিধিলো পায়ে...ইত্যাদি গান ছড়িয়ে যায় অাজহার অালীর গলায় গলায়,মুখে মুখে।তারপর অাস্তে অাস্তে গণমানুষের কথাগুলো চলে অাসে গানে,সুরে।গাইতে শুরু করেন গণ সংগীত। ১৯৭৪- এর দেশবিভাগ এবং পরবর্তীকালে '৫২-র ভাষা অান্দোলন, পাকিস্তানি শোষণ- শাসন, সমাজের নানা বৈষম্য অাজহার অালীর বিবেককে যেন নাড়া দেয়, সচেতন করে তোলে।নিজের মধ্যে এক বিপ্লবী পরিবর্তন অাসে অাজহার অালীর।
এ সময়ে তাজপুর এলাকায় অারেক বিপ্লবী পুরুষ বাম চিন্তা চেতনায় পোড় খাওয়া লৌহখণ্ড কমরেড অাসাদ্দর অালী। ভাষা অান্দোলন অার পাকিস্তানি শোষণ- নিপিড়নের বিরুদ্ধে কাজ করতে গিয়ে পরিচয় অাজহার অালীর সাথে। অাজহার অালীও অাপন পথ খুঁজে পান,যেন পেয়ে যান প্রত্যাশিত ঠিকানা, কমরেড অাসাদ্দর অালীর মাঝে।
শোষণ- বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলেন, বক্তৃতা দেন এবং দরাজ গলায় সেগুলো সভা- সমাবেশে অনুষ্ঠানে গেয়ে শোনান অাজহার অালী। সে সময় তিনি তখনকার বিপ্লবী এবং সমাজ সচেতন রাজনীতিবিদদের সংস্পর্শে
কাজ করার সুযোগ পান।অার সেই নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন অাসাদ্দর অালী ছাড়াও পীর হাবীবুর রহমান,তারা মিয়া, বরুণ রায় প্রমুখ।
সিলেট অঞ্চলের কিংবদন্তিতুল্য বিপ্লবী
ব্যক্তিত্ব কমরেড বরুণ রায়ের তিনি ছিলেন অত্যন্ত কাছের জন। যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে সুনামগঞ্জে তিনি বরুণ রায়ের নির্বাচনী এলাকায় দিনরাত নির্বাচনী কাজে অার সভা- সমাবেশে গণসংগীত গেয়ে বেড়াতেন। অার এ সময় থেকেই তিনি কমিউনিস্ট অাদর্শে নিজেকে উৎসর্গ করেন।পার্টির কাজে সময় দেন। শোষণমুক্তির স্বপ্ন দেখেন।সামাজিক বৈষম্য অার অনাচার-কুসংস্কারের বিরুদ্ধে শক্ত হয়ে দাঁড়ান।পার্টি সদস্যপদ লাভ করেন।লাল ঝাণ্ডা হাতে তুলে নেন।
কমিউনিস্ট অান্দোলনে পিকিং- মস্কো ধারা বিভক্তি কমরেড অাজহার অালীকে অাহত করে।তিনি তখন নিজেকে গুটিয়ে নেন সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে।কিন্ত সংগীত তাঁর রক্তে, শিরায় শিরায় মিশে যায়।
তিনি নিজে গান লিখতেন,সুর দিতেন,গাইতেন। শুধু তাই নয়, নিজের শ্রমে ঘামে,অর্থে সঙ্গীতদল গড়ে তোলেন। গান শেখান, বাদ্য শেখান।নিজের হাতে গড়ে তোলেন অনেক শিল্পী।
অাজহার অালী একজন ভালো ক্রীড়াব্যক্তিত্ব ছিলেন।নিজের খরচে খেলোয়াড় দল তৈরী করতেন, প্রতিযোগীতার
অায়োজন করতেন।
একসময় তিনি পাড়ি দেন সাত সমুদ্র তের নদী।সম্ভবত ১৯৬৭ সালে।ব্রিটেনে শুরু হয় তাঁর অারেক জীবন। কিন্ত এখানেও তিনি গান,সুর,সঙ্গীতের লালন করা ছেড়ে দেননি। স্থানিয় ট্রেড ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের সাথে তাঁর ভলো সম্পর্ক গড়ে উঠে।শ্রমিক অার মেহনতি মানুষগুলোর অাত্নার সাথে অাজহার অালীর সম্পর্ক।সে শ্রমিক সাদা কী কালো তা প্রশ্নাতীত।লন্ডনে অন্যান্যের মধ্যে শ্রমিক নেতা এবং পরে মানবাধিকারকর্মী মি. ডেনজনের সাথে খুবই উষ্ণ সম্পর্ক ছিল তাঁর।
মি.ডেনজন প্রায়ই বাংলাদেশে শিক্ষা সংস্কৃতি বা সামাজিক কল্যাণমূলক কোনো না কোনো কাজে অথবা বেড়াতে অাসতেন।অাজহার অালী তখন তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করতেন।ডেনজনের সাথে তখন একত্রে তিনিও বিভিন্ন সামাজিক কাজে বা কল্যাণমূলক কাজে অাত্ননিয়োগ করতেন।
কঠোর পরিশ্রমী অার ধৈর্যশীল কর্মঠ অাজহার অালী বেশ কয়েক বছর যু্ক্তরাজ্যে থাকাকালীন অার্থিকভাবে নিজেকে মোটামুটি শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করান।অর্থবিত্তে স্বয়ংসম্পূর্ন হন।কাজিরগাঁও থেকে তাজপুরের ইলাশপুরে নিজে তৈরী করেন বাড়ি।।বসবাস শুরু করেন সেখানে।একটুও কমতি হয় না তাঁর সঙ্গীতচর্চা অার সঙ্গীতলালনে।ক্রমে এ বাড়িটি হয়ে ওঠে অনেক সঙ্গীতামোদীদর ঠিকানা অার এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সূতিকাগার, মিলনকেন্দ্র।শিক্ষামোদীদেরও প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয় একসময় এ বাড়িটি।অবশেষে একদিন এ বাড়িটি কলেজবাড়ি নামে পরিচিত হয় সকলের কাছে।
১৯৭২ সাল।স্বাধীনতা উত্তর বালাগঞ্জে শিক্ষানুরাগী উদ্যোগ নেন একটি কলেজ স্থাপনের।মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল (অব.)এম এ জি ওসমানী এই এ্রলাকার কৃতি সন্তান এবং স্থানীয় এমপি।তৎকালীন সরকারের মন্ত্রীও।তাঁরই সক্রিয় সহযোগীতায় অনেকেই এগিয়ে অাসেন।কিন্ত কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থদাতা অনেক ব্যক্তি ছিলেন,সরকারী সহযোগীতাও ছিল। অথচ একসাথে প্রয়োজনীয় জমি পাওয়া ছিল দুর্লভ।বিশেষ করে বালাগঞ্জের মধ্যবর্তী স্থান তাজপুর বা গোয়ালাবাজার এলাকায় জমি পাওয়া ছিল খুবই কষ্টকর।কিছুতেই যখন তা পাওয়া যাচ্ছিল না তখনই জেনারেল ওসমানী, অাসাদ্দর অালীসহ অন্যান্যের অনুরোধে অাজহার অালী তাঁর নিজের বেশ কিছু জমি একসাথে একপ্লটে দিতে সস্মত হন।তখন জেনারেল(অব.)ওসমানী স্বপ্রণোদিত হয়ে অাজহার অালীর বা তাঁর নির্বাচিত কোনো নামে প্রস্তাবিত এই কলেজটির নামকরণ করা হবে বলে মতামত দিলে অাজহার অালী অার তখন তাঁর জমি ফিরিয়ে নবেন বলে জানান।অর্থাৎ তিনি তাঁর নামে কলেজ হোক এটা চাননি।কথা প্রসঙ্গে বিষয়টি তিনিই একদিন অামাদের বলেছিলেন পরবর্তীকালে।অবশ্য পরে এই কলেজের নাম তাজপুর কলেজ রাখা হয়।
কলেজ পরিচালনা কমিটিতে অাজহার অালী বা তাঁর মনোনীত বা উত্তরসূরি কেউ সবসময় পরিচালনা কমিটিতে থাকবেন বলে নিয়ম রাখা হয়।
কলেজ নির্মাণের বছরখানেক পরে এক বৈশাখী ঝড়ে কলেজ ভবনের মারাত্নক ক্ষতি হয়। রোদ- বৃষ্টির মধ্যে,ছাদহীন কক্ষে কলেজের লেখাপড়া তথা শিক্ষাদান কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।তাই অাজহার অালী তাঁর বাড়ির কক্ষে শিক্ষাদান চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন,অার এ থেকেই বাড়িটির পরিচয় অার নামডাক হয়ে যায় 'কলেজবাড়ি' নামে।
এছাড়া কলেজের উন্নয়নে তিনি নিজেও অর্থসাহায্য তো দিয়েছেন, একসময় কলেজে যাত্রাপালার অায়োজন করে এবং দেশ বিদেশে নিজ উদ্যোগে কলেজের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছেন-, অার তাতেই কলেজের প্রথম পাকা বিল্ডিং নির্মাণ হয়।
১৯৮৬ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির বালাগঞ্জ উপজেলা শাখার প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কমরেড অাজহার অালীর কলেজবাড়িতে।এর ৩-৪ বছর অাগে থেকেই পার্টির কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে। কমরেড অাজহার অালী উপজেলা কমিটিতে সদস্য নির্বাচিত হন।ময়নূর রহমান বাবুলকে নির্বাচিত করা হয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে।তারও কিছুদিন অাগে সম্মেলনের মাধ্যমে সংঘটিত হয়ে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী বালাগঞ্জ শাখা চলতে থাকে কলেজবাড়িতেই।উদীচীর কার্যক্রম অারো অাগে থেকেই অাজহার অালীর নেতৃত্বে চলছিল। সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত কমিটিতে তিনি সভাপতি অার ময়নূর রহমান বাবুল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।তাঁর নেতৃত্বে সংগীতের একটা শক্তিশালী গ্রুপ তখন উদীচীতে গড়ে উঠে। অার এ গ্রুপের কয়েকজন সদস্য ২-৩ বার যুক্তরাজ্যের ওয়েলসে একটা অান্তর্জাতিক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেছিল।একবার এ সংগঠনের শিশুশিল্পী গ্রুপ সেই প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে সারা বিশ্বে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে সপ্তম স্থান লাভ করেছিল।তখন এই দলের ক্ষুদে শিল্পীগনের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা সুষমা সুলতানা রুহি, জিলাক অাহমদ, তোফায়েল অাহমদ, রুমিমা সুলতানা রুমি প্রমুখ।
অাশির দশকে বাড়িটি হয়ে উঠে অারে প্রাণবন্ত। স্হানীয় উদীচী এবংকমিউনিস্ট পার্টি দুইসংগঠনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল কলেজবাড়ি। উল্লেখ্য,বাড়িটি ছিল বেশ বড়।,শিক্ষা সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দুতে বাড়িটি যেমন ছিল গুরুত্বপূর্ণ তেমনি প্রাকৃতিক বা নৈসর্গিক ভাবেও ছিলো খুবই মনোরম। বাড়িটি নির্মিত ছিল কয়েক একর জমি নিয়ে।চতুর্দিকে লেক।সেখানে নৌকা অাছে, বড়শি অাছে, ক্লান্তি কাটাবার উত্তম পরিবেশ।বাড়ির গাছগাছালি,ফলফলাদিও উল্লেখ করার মতো।সামনের পুকুরপারে দোতলা একখানা ঘর।অন্তত ৮-১০টি কক্ষবিশিষ্ট এই বিল্ডিংটির দুইটা কক্ষ,একটি উদীচীর কার্যালয় অার লাইব্রেরি।একটা সিপিবি অফিস।পশ্চিম দিকে তাঁদের নিজেদের থাকার ঘরটিও বেশ কয়কটি কক্ষবিশিষ্ট।এখানেও একটা বৈঠকঘরের মতো কক্ষ।যেন হল ঘর।বিভিন্ন প্রকারের বাদ্যযন্ত্র সাজানো।সঙ্গীতানুরাগীদের প্রশিক্ষণ চলে সকাল- বিকেল এ ঘরে।
বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সভা বা বড় বড় অায়োজনের সভা সমূহ এ বাড়িতেই হতো। জনসভা করার মতো পরিসর ছিল বাড়ির অাঙিনাতে।উদিচী বা পার্টির অথবা অন্য যে কোনো অনুষ্ঠানাদির অায়োজনে তিনি সার্বিক সহযোগীতা তো করতেনই।যে কোনো সহযোগীতায় তাঁর উদার হাত থাকতো সর্বাগ্রে।যেন এ বাড়িটির মতো মনটিও ছিল তাঁর অনেক বড়।তিনি ছিলেন মহান।
অাজহার অালী ব্যক্তিজীবনে অনেক গুনের অধিকারী ছিলেন।বাহিরে তাঁর কঠিন অাস্তরণ মনে হলেও ভিতরটা পরিপূর্ণ ছিল একটা বৃহৎ হৃদয় অার নরম দিল দিয়ে। খুব উদার মনের লোক ছিলেন অাজহার অালী।তাজপুর কলেজ প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান ছিল যে শুধু তা নয়।তিনি প্রকাশ্যে নয়, লুকিয়েই দান করতেন বেশি এবং বড় অংশটাই দান করতেন। শিক্ষা, সংস্কৃতি ক্ষেত্রে তাঁর অবদান তুলনাহীন। তিনি সমাজের উপকারের জন্য যেটুকু দিতেন তা উজাড় করেই দিতেন,মুক্ত মনে, অকৃপণ হাতে দিতেন।অাজহার অলীর এসব দিকগুলো অালোচনা করতে গেলে লেখাটার পরিসর অনেক ব্যাপক হয়ে যাবে বিধায় তা এটুকুই থাকলো।
অাজহার অালীর দুই মেয়ে অার এক ছেলের জনক ছিলেন। ছেলে (অধুনা মরহুম) অার বড় মেয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী, অার ছোট মেয়ে সংসার করছেন বাংলাদেশে।অাপন সংস্কৃতি অার সঙ্গীত তারা সকলেই ধারণ করছেন নিজেদের মাঝে।
একজন প্রগতিশীল,অসাম্প্রদায়িক,উদার মনের মানুষ ছিলেন অাজহার অালী। ১৯৮৯ সালে ২৪ জুলাই মারণব্যাধি ক্যান্সারে তাঁর মহাপ্রয়াণ ঘটে।
জীবদ্দশায় অাজহার অালী একজন নীরব পরোপকারী অার প্রচারবিমুখ ব্যক্তি ছিলেন।
একজন প্রশস্ত হৃদয়ের পুরুষ,উদার মনের মানুষ অাজহার অালী অালেচনায়,কথায় অার বক্তৃতায় প্রাই তাঁর একটা স্বপ্নের কথা বলতেন, 'অারো পাঁচটা বছর বাঁচতে চাই, অার অামার দলের একজন এমপি বানাতে চাই'।-এরকম এক বড় স্বপ্ন সাথে নিয়েই তিনি সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের পাশে তাজপুর বাজার সংলগ্ন কবরস্হানে চিরনিদ্রায় শায়িত।
পাশ দিয়ে যাতায়াত কালে তাঁর ভক্তদের কানে প্রায়ই বাজে তাঁর কণ্ঠে গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীতের লাইনগুলো-'যখন বেলা-শেষের ছায়ার পাখিরা যায় অাপন কুলায়-মাঝে; সন্ধাপূজার ঘন্টা যখন বাজে, তখন অাপন শেষ শিখাটি জ্বালবে এ জীবন-।

Post a Comment

thanks for this post.

Thank You stay With Us

কমরেড আসাদ্দর আলী বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম।তিনি সারাজীবন মেহনতী মানুষের কল্যানে কাজ করে গেছেন।১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবিস্মরণীয় অবদান ছিল।তিনি কমিনিষ্ট আন্দোলনের পথিকৃত এবং বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।গণ মানুষের নেতা কমরেড আসাদ্দর আলীর স্বরনে একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র।সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।