সিলেটে ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত ১৯৫২ সালের বেশ আগে। আন্দোলনে সিলেটের রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী এবং নাগরিকসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। সারা দেশে ভাষার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় ১৯৪৮ সালে। কিন্তু সিলেটের মানুষ ১৯৪৭ সাল থেকেই তাদের অসন্তোষ প্রকাশ শুরু করে। ওই সময় বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে সিলেটে প্রকাশ্যে সভাও হয়েছে। এখানকার পত্রপত্রিকাতেই প্রথম বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উঠেছিল। শুধু তাই নয়, ভাষা আন্দোলনে সিলেটের নারীরা অনন্য ভূমিকা পালন করে, যা আজ ইতিহাসের অংশ। আর একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় গুলিবর্ষণের পর সিলেটের রাজপথ ছিল মিছিল-সমাবেশে উত্তাল। গ্রাম পর্যায়েও আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল। সিলেটে ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন সিলেট আইন মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ, সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ সদস্য মনির উদ্দিন আহমদ। তার দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভাষা আন্দোলনে সিলেটের ভূমিকার কথা এভাবেই তুলে ধরেন তিনি। ১৯৫২ সালে তিনি সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। ভারতের আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাস করেন। এই তরুণ নেতা সে সময় প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্বও করেছেন। তাঁর সঙ্গে একান্ত আলোচনায় সিলেটে ভাষা আন্দোলনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অনেক তথ্যই জানা গেল। তিনি জানান, ভাষার দাবিতে সিলেটে প্রথম প্রকাশ্য সভা হয় ১৯৪৭ সালের ৯ নভেম্বর। সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ওই সভার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল 'পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা'। মুসলিম চৌধুরী সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তাতে তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান। ৩০ নভেম্বর সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা হলে 'পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু হওয়া উচিত' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়; সভাপতিত্ব করেন সাহিত্যিক মতিন উদ্-দীন আহমদ। প্রধান অতিথি ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। কিন্তু শেষ হওয়ার আগে মুসলিম লীগের প্রতিক্রিয়াশীলরা সমাবেশটি পণ্ড করে দেয়। ১৯৪৮ সালের ১১ জানুয়ারি পাকিস্তানের যোগাযোগমন্ত্রী আবদুর রব নিশতার সিলেটে এলে মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আবদুস সামাদের (আবদুস সামাদ আজাদ) নেতৃত্বে ছাত্রদের একটি প্রতিনিধিদল তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা হিসেবে বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করার দাবি জানান। জোবেদা খাতুন চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল মহিলাও মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দিয়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান। অধ্যক্ষ মনির উদ্দিন আহমদ জানান, ভাষার দাবিতে ১৯৪৮ সাল থেকে মুখর সিলেটের রাজপথ। ১৯৪৮ সালের ৮ মার্চ বাংলা ভাষার দাবিতে শহরের গোবিন্দ পার্কে (বর্তমানে হাসান মার্কেট) জনসভার আয়োজন করেছিলেন আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। নওবেলালের সম্পাদক ও তৎকালীন মুসলিম লীগ নেতা মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সভা শুরু হওয়ামাত্র হামলা চালায় মুসলিম লীগের প্রতিক্রিয়াশীল নেতা-কর্মীরা। সভাস্থল থেকে ফেরার পথে মকসুদ আহমদ নামের এক ছাত্রকে আক্রমণ করে। তাঁর ভগি্নপতি তৎকালীন সদর থানার ওসি তাঁকে রক্ষা করেন। সে সময় থেকেই বাংলা ভাষার দাবিতে পুরোপুরি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সিলেট। নারীরা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন; আন্দোলনে শরিক হন। ১০ মার্চ একই স্থানে আবারও জনসভা আহ্বান করা হয়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সারা সিলেটে দুই মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তাতে কী! গোপনে কার্যক্রম চলেছে। ভাষাসৈনিক মনির উদ্দিন আহমদ বলেন, '২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার খবর সিলেটে এসে পৌঁছায় পরের দিন। আমি সে সময় জেলা আইনজীবী সমিতির তরুণ সদস্য। এ খবর জানার পরই সবাই আদালত ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসি। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র, রাজনৈতিক কর্মীরাও ততক্ষণে জড়ো হতে শুরু করেছেন। বিশাল মিছিল বের হলো। গোবিন্দ পার্কে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে পরের দিন সিলেটে হরতাল আহ্বান করা হয়। সভার পর আমরা তৎকালীন এমএলএ দেওয়ান তৈমুর রাজা চৌধুরীর বাসা ঘেরাও করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করতে থাকি। অন্য এমএলএরা ভয়ে শহর ত্যাগ করেন। ২০-২৫ দিন পর্যন্ত সিলেটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়। প্রতিদিন শহরে দু-তিনটি জনসভা হতো। একপর্যায়ে আন্দোলন সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিস্তৃত হয়।' মনির আহমদ বলেন, সিলেটের ভাষা আন্দোলনে রাজনৈতিক কর্মী, ছাত্র ও সাধারণ মানুষ যোগ দেন। মূল ভূমিকা যাঁরা পালন করেন, তাঁদের অন্যতম নওবেলাল সম্পাদক মাহমুদ আলী, সরেকওম এ জেড আবদুল্লাহ,কমরেড আসাদ্দর আলী, পীর হবিবুর রহমান, মতছির আলী (কালা মিয়া), আবদুর রহিম (লাল বারী), এম এ রাব্বী, আবদুল হামিদ, এ এইচ সাদত খান, তারা মিয়া, নুরুর রহমান, জোবেদা খাতুন চৌধুরী, সৈয়দ আকমল হোসেন ও হাজেরা মাহমুদ। অধ্যক্ষ মনির উদ্দিন আহমদ এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। কথা বলতে পারলেও কানে তেমন শুনেন না। ৬০ বছর পর ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা যে প্রত্যাশা নিয়ে ভাষা আন্দোলন শুরু করেছিলাম তার শতভাগ সফল হয়নি। মাতৃভাষার প্রতি অবহেলা ও বিদেশি ভাষার আগ্রাসনে বাংলা ভাষার শ্বাস রুদ্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। চলছে ভাষার বিকৃতি। ভাষার সমস্যা জাতীয় আর্থসামাজিক মৌলিক সমস্যারই অংশ। তাই আর্থসামাজিক মৌলিক সমস্যার আমূল পরিবর্তনকারী সমাধান ছাড়া ভাষা সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধান সম্ভব নয়।'
সিলেটে ভাষা আন্দোলনের শুরু সাতচল্লিশেই-ভাষা সৈনিক মনির উদ্দিন আহমদ
সিলেটে ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত ১৯৫২ সালের বেশ আগে। আন্দোলনে সিলেটের রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী এবং নাগরিকসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। সারা দেশে ভাষার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় ১৯৪৮ সালে। কিন্তু সিলেটের মানুষ ১৯৪৭ সাল থেকেই তাদের অসন্তোষ প্রকাশ শুরু করে। ওই সময় বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে সিলেটে প্রকাশ্যে সভাও হয়েছে। এখানকার পত্রপত্রিকাতেই প্রথম বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উঠেছিল। শুধু তাই নয়, ভাষা আন্দোলনে সিলেটের নারীরা অনন্য ভূমিকা পালন করে, যা আজ ইতিহাসের অংশ। আর একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় গুলিবর্ষণের পর সিলেটের রাজপথ ছিল মিছিল-সমাবেশে উত্তাল। গ্রাম পর্যায়েও আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল। সিলেটে ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন সিলেট আইন মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ, সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ সদস্য মনির উদ্দিন আহমদ। তার দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভাষা আন্দোলনে সিলেটের ভূমিকার কথা এভাবেই তুলে ধরেন তিনি। ১৯৫২ সালে তিনি সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। ভারতের আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাস করেন। এই তরুণ নেতা সে সময় প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্বও করেছেন। তাঁর সঙ্গে একান্ত আলোচনায় সিলেটে ভাষা আন্দোলনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অনেক তথ্যই জানা গেল। তিনি জানান, ভাষার দাবিতে সিলেটে প্রথম প্রকাশ্য সভা হয় ১৯৪৭ সালের ৯ নভেম্বর। সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ওই সভার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল 'পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা'। মুসলিম চৌধুরী সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তাতে তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান। ৩০ নভেম্বর সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা হলে 'পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু হওয়া উচিত' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়; সভাপতিত্ব করেন সাহিত্যিক মতিন উদ্-দীন আহমদ। প্রধান অতিথি ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। কিন্তু শেষ হওয়ার আগে মুসলিম লীগের প্রতিক্রিয়াশীলরা সমাবেশটি পণ্ড করে দেয়। ১৯৪৮ সালের ১১ জানুয়ারি পাকিস্তানের যোগাযোগমন্ত্রী আবদুর রব নিশতার সিলেটে এলে মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আবদুস সামাদের (আবদুস সামাদ আজাদ) নেতৃত্বে ছাত্রদের একটি প্রতিনিধিদল তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা হিসেবে বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করার দাবি জানান। জোবেদা খাতুন চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল মহিলাও মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দিয়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান। অধ্যক্ষ মনির উদ্দিন আহমদ জানান, ভাষার দাবিতে ১৯৪৮ সাল থেকে মুখর সিলেটের রাজপথ। ১৯৪৮ সালের ৮ মার্চ বাংলা ভাষার দাবিতে শহরের গোবিন্দ পার্কে (বর্তমানে হাসান মার্কেট) জনসভার আয়োজন করেছিলেন আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। নওবেলালের সম্পাদক ও তৎকালীন মুসলিম লীগ নেতা মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সভা শুরু হওয়ামাত্র হামলা চালায় মুসলিম লীগের প্রতিক্রিয়াশীল নেতা-কর্মীরা। সভাস্থল থেকে ফেরার পথে মকসুদ আহমদ নামের এক ছাত্রকে আক্রমণ করে। তাঁর ভগি্নপতি তৎকালীন সদর থানার ওসি তাঁকে রক্ষা করেন। সে সময় থেকেই বাংলা ভাষার দাবিতে পুরোপুরি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সিলেট। নারীরা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন; আন্দোলনে শরিক হন। ১০ মার্চ একই স্থানে আবারও জনসভা আহ্বান করা হয়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সারা সিলেটে দুই মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তাতে কী! গোপনে কার্যক্রম চলেছে। ভাষাসৈনিক মনির উদ্দিন আহমদ বলেন, '২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার খবর সিলেটে এসে পৌঁছায় পরের দিন। আমি সে সময় জেলা আইনজীবী সমিতির তরুণ সদস্য। এ খবর জানার পরই সবাই আদালত ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসি। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র, রাজনৈতিক কর্মীরাও ততক্ষণে জড়ো হতে শুরু করেছেন। বিশাল মিছিল বের হলো। গোবিন্দ পার্কে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে পরের দিন সিলেটে হরতাল আহ্বান করা হয়। সভার পর আমরা তৎকালীন এমএলএ দেওয়ান তৈমুর রাজা চৌধুরীর বাসা ঘেরাও করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করতে থাকি। অন্য এমএলএরা ভয়ে শহর ত্যাগ করেন। ২০-২৫ দিন পর্যন্ত সিলেটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়। প্রতিদিন শহরে দু-তিনটি জনসভা হতো। একপর্যায়ে আন্দোলন সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিস্তৃত হয়।' মনির আহমদ বলেন, সিলেটের ভাষা আন্দোলনে রাজনৈতিক কর্মী, ছাত্র ও সাধারণ মানুষ যোগ দেন। মূল ভূমিকা যাঁরা পালন করেন, তাঁদের অন্যতম নওবেলাল সম্পাদক মাহমুদ আলী, সরেকওম এ জেড আবদুল্লাহ,কমরেড আসাদ্দর আলী, পীর হবিবুর রহমান, মতছির আলী (কালা মিয়া), আবদুর রহিম (লাল বারী), এম এ রাব্বী, আবদুল হামিদ, এ এইচ সাদত খান, তারা মিয়া, নুরুর রহমান, জোবেদা খাতুন চৌধুরী, সৈয়দ আকমল হোসেন ও হাজেরা মাহমুদ। অধ্যক্ষ মনির উদ্দিন আহমদ এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। কথা বলতে পারলেও কানে তেমন শুনেন না। ৬০ বছর পর ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা যে প্রত্যাশা নিয়ে ভাষা আন্দোলন শুরু করেছিলাম তার শতভাগ সফল হয়নি। মাতৃভাষার প্রতি অবহেলা ও বিদেশি ভাষার আগ্রাসনে বাংলা ভাষার শ্বাস রুদ্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। চলছে ভাষার বিকৃতি। ভাষার সমস্যা জাতীয় আর্থসামাজিক মৌলিক সমস্যারই অংশ। তাই আর্থসামাজিক মৌলিক সমস্যার আমূল পরিবর্তনকারী সমাধান ছাড়া ভাষা সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধান সম্ভব নয়।'
Post a Comment
0 comments
কমরেড আসাদ্দর আলী বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম।তিনি সারাজীবন মেহনতী মানুষের কল্যানে কাজ করে গেছেন।১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবিস্মরণীয় অবদান ছিল।তিনি কমিনিষ্ট আন্দোলনের পথিকৃত এবং বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।গণ মানুষের নেতা কমরেড আসাদ্দর আলীর স্বরনে একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র।সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।