দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ সিলেট। যেখানে শায়িত আছেন হযরত শাহজালাল (রাঃ),হযরত শাহপরাণ (রাঃ)সহ ৩৬০ আউলিয়া যে কারণে সিলেটকে বলা হয় আধ্যাত্মিক রাজধানী। এই সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার একমাত্র এমপিও ভূক্ত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে মোঃ নূর মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে সুন্দর পর্যায়ে পৌছার চেষ্টায় লিপ্ত আছে। বর্তমানে পাবলিক পরীক্ষায় ধারাবাহিক সাফল্য সহ সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমে ও উন্নতির স্বাক্ষর রাখছে। আমরাও যথাসাধ্য চেষ্টা করছি বিদ্যালয়টিকে একটি আদর্শ বিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার।
বর্তমান যুগ হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির যুগ। আধুনিক প্রযুক্তিতে আমাদের জীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে New Age Media তো বিশ্বকে হাতের মুঠোয় বিশ্বায়নে নিয়ে এসেছে এবং বিশ্বকে একটি গ্রামে পরিনত করতে চলছে। বর্তমান সরকারের ভিশন’২০২১ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ওয়েব সাইট খোলাকে সাধুবাদ জানাই, সেই সাথে মোঃ নূর মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ওয়েব সাইট খোলতে পেরে আমরা আনন্দিত ও গৌরবান্বিত। বিদ্যালয়ের স্পষ্টতা ও জবাবদিহিতা এখন থেকে জনসন্মুখে উন্মুক্ত হয়ে গেল। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। যাহা সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বাংলার সফল প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য সন্তান জনাব সজিব ওয়াজেদ জয়ের তত্বাবধানে ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপে। উল্লেখ্য, আমার স্কুলের মেয়েরা বিতর্ক বিকাশ-২০১৪ এ অংশ গ্রহণ করে ওসমানীনগর তথা সিলেটের মুখ উজ্জল করেছে এবং এটিএন বাংলায় পূণঃপ্রচার করে দেশবাসীর সম্মূখে মেয়েদের চলন বলন দর্শকদেরকে গুণ মুগ্ধকর করে তুলেছে যাহা প্রশংসার দাবী রাখে। আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এটিএন বাংলা সকল কর্মকর্তা ও কলাকৌশলীকে। অনেক গুণীজনের পূণ্য জন্মে আমরা ওসমানীনগর বাসী গর্বিত, দেশবাসীও ধন্য। আমরা জানি মুক্তিযুদ্ধের সফল নেতৃত্ব দান করেছিলেন এই মাটির ক্ষণজন্মা পূরুষ মরহুম বঙ্গবীর জেনারেল (অবঃ) মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী। এক সময়ের স্বরাষ্ট্র সচিব পরবর্তীতে নিবার্চন কমিশনার মরহুম সফিউর রহমান চৌধুরী। বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রদূত হিসাবে যিনি বৃটেন,কানাডার মতন দেশে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন পরবর্তীতে সুযোগ্য পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন জনাব মুফলেউর রহমান ওসমানী এই জনপদের বাংলা ও বাঙ্গালীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মধ্যে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সে সময়ে যারা অবদান রেখেছিলেন সেই সব প্রাণ পূরুষদের মধ্যে অন্যতম মহাকবি শরৎচন্দ্র চৌধুরী, বৃটিশ আমলে দেবী যুদ্ধ মহাকাব্য গ্রন্থ রচনা করে যিনি বৃটিশ সরকারের রোষানলে পড়ে ভারতবর্ষে কারাবরণ করেছিলেন। মায়ের ভাষা বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াইয়ে অকুতভয় সৈনিকের দায়িত্ব নিয়ে যারা জড়িত ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম বাম রাজনীতির পুরূধা ভাষা সৈনিক মরহুম কমরেড আসাদ্দর আলী। এম সি কলেজসহ,বিভিন্ন সরকারী মহাবিদ্যালয় ও বোর্ডের চেয়ারম্যান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার সর্বশেষে মেট্রোপলিটন ইউনিভারসিটির ভিসি তৎকালীন ছাত্রনেতা ভাষা সৈনিক প্রফেসর মোঃ আব্দুল আজিজ। আমরা ওসমানীনগরবাসী আরো গর্ববোধ করি যে মাটিতে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন মহাপ্রভূ শ্রী চৈতেন্যের পূর্বপূরুষ।
পরিশেষে এ যুগান্তকারী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আবারো জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন ও লাল গোলাপ শুভেচ্ছা। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে কায়মনোবাক্যে মোনাজাত করি-দেশ মাতৃকার জন্য আপনার গণতান্ত্রিক লড়াই অব্যহত থাকবে এবং বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।আরও জানতে এখানে http://mnmghs.edu.bd
Post a Comment
0 comments
কমরেড আসাদ্দর আলী বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম।তিনি সারাজীবন মেহনতী মানুষের কল্যানে কাজ করে গেছেন।১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবিস্মরণীয় অবদান ছিল।তিনি কমিনিষ্ট আন্দোলনের পথিকৃত এবং বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।গণ মানুষের নেতা কমরেড আসাদ্দর আলীর স্বরনে একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র।সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।